অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Bangalore
বেঙ্গালুরু
বেঙ্গালুরু (, ''বেঙ্গল়ূরু'', ), পূর্বনাম ব্যাঙ্গালোর বা বাঙ্গালোর, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা ৮৪ লক্ষ, অর্থাৎ এটি ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে জনবহুল এবং দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল শহর। বৃহত্তর বেঙ্গালুরু পৌর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ লক্ষ, অর্থাৎ এটি দেশের পঞ্চম সবচেয়ে জনবহুল পৌরপিণ্ড। শহরটি দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে সমুদ্রতল থেকে উচ্চতায় অবস্থিত। উদ্যান ও শ্যামলিমার জন্য বেঙ্গালুরু "উদ্যাননগরী" নামে পরিচিত।প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ থেকে বেঙ্গালুরু অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল। শহরের বেগুর অঞ্চলের নাগেশ্বর মন্দির থেকে প্রাপ্ত কন্নড় ভাষায় খোদাই করা ৮৯০ খ্রিস্টাব্দের প্রস্তরখণ্ডে "বেঙ্গল়ূরু" নাম প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এটি পশ্চিম গঙ্গ রাজবংশ দ্বারা শাসিত ছিল। একাদশ শতাব্দী থেকে এটি চোল সাম্রাজ্যের অংশ হয়। মধ্যযুগের শেষে এটি হৈসল ও পরে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৫৩৭ সালে বিজয়নগরের সামন্ত প্রথম কেম্পে গৌড়া একটি মাটির দুর্গ স্থাপন করেন, যা আধুনিক বেঙ্গালুরু শহরের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত। বিজয়নগরের পতনের পর কেম্পে গৌড়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন আর তার উত্তরসূরী শহরের সম্প্রসারণ করেন। ১৬৩৮ সালে বিজাপুরের সেনাবাহিনী তৃতীয় কেম্পে গৌড়াকে পরাজিত করে, যার ফলে বেঙ্গালুরু শাহাজীর একটি জায়গিরে পরিণত হয়। মুঘল সাম্রাজ্য পরে বেঙ্গালুরু দখল করে মহীশূরের মহারাজা চিক্ক দেবরাজকে বিক্রয় করে দেয়। ১৭৫৯ সালে দ্বিতীয় কৃষ্ণরাজ ওয়াডিয়ারের মৃত্যুর পর হায়দার আলী মহীশূরের শাসক হন, যার ফলে বেঙ্গালুরু তার এখতিয়ারে আসে। হায়দার আলীর মৃত্যুর পর টিপু সুলতান মহীশূরের শাসক হন।
ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বেঙ্গালুরু দখল করে, আর তৃতীয় কৃষ্ণরাজ ওয়াডিয়ারকে শহর হস্তান্তর করে দেয়। ১৮০৯ সালে ব্রিটিশরা তাদের রক্ষীসেনাকে বেঙ্গালুরুতে (তখন ব্যাঙ্গালোর) স্থানান্তরিত করেছিল, আর পুরনো শহরে বাইরে ক্যান্টনমেন্ট বা সেনানিবাস স্থাপন করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্যাঙ্গালোর কার্যত দুটি পৃথক বসতি নিয়ে গঠিত ছিল: পুরনো "পেটে" ও নতুন ক্যান্টনমেন্ট। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর ব্যাঙ্গালোর মহীশূর রাজ্যের রাজধানী হয়েছিল, যা ১৯৭৩ সালে কর্ণাটক রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে ব্যাঙ্গালোরের দুটি পৃথক বসতি একটি পৌর প্রশাসনের অধীনে এসেছিল।
বেঙ্গালুরু ভারতের সবচেয়ে দ্রুতহারে বর্ধনশীল মহানগরীর মধ্যে অন্যতম। বেঙ্গালুরু মহানগর এলাকার আনুমানিক জিডিপি $৩৫৯.৯ বিলিয়ন। শহরটি তথ্য প্রযুক্তির প্রধান কেন্দ্র, আর এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতহারে বর্ধনশীল প্রযুক্তি কেন্দ্রের অন্যতম। দেশের তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবার বৃহত্তম কেন্দ্র ও রফতানিকারক হিসাবে এটি "ভারতের সিলিকন ভ্যালি" হিসাবে বহুল স্বীকৃত। উৎপাদন খাত শহরের অর্থনীতির অন্যতম অবদানকারী, আর এখানে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত উৎপাদন কোম্পানির সদর দপ্তর রয়েছে। এছাড়া বেঙ্গালুরুতে একাধিক জাতীয় মর্যাদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ